ঢাকা , শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫ , ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
রাজশাহীতে ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে আহলেহাদীছ আন্দোলনের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ তানোরে ফের নবিল গ্রুপের দুষণ সন্ত্রাস তানোরে জামায়াতের নির্বাচনী কর্মী ও সুধী সমাবেশ সারদা'র ডিআইজি এহসানউল্লাহর রহস্যজনক নিখোঁজ, তদন্ত শুরু ইতিহাসের সুবিজ্ঞ ও দূরদর্শীদের জীবনের শিক্ষা আমরা বই পড়েই জেনেছি: বিভাগীয় কমিশনার আবু ধাবি টি১০ লিগে কোয়েটা ক্যাভালরির অধিনায়ক নিযুক্ত হলেন মোহাম্মদ আমির সমবায়ভিত্তিক অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ গড়া সম্ভব: প্রধান উপদেষ্টা সিরাজগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় ভ্যানচালকের মৃত্যু নেত্রকোণায় অটোরিকশা-ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত ২ পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটিতে ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে সচেতনতার জন্য সেমিনার অনুষ্ঠিত ইসলামে গুজব ছড়ানো গুরুতর পাপ প্রথম মানুষ আদমের (আ.) ভুল ও অনুতাপ এসএসসির ফরম পূরণ শুরু হবে ৩১ ডিসেম্বর নির্বাচনের আগে গণভোটের সুযোগ নেই: মির্জা ফখরুল ফিটনেস কুইন করিনার 'কঠিন' ওয়ার্কআউটের ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই অবাক ভক্তরা হরমনদের দাপটে হতাশায় শেষ অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ অভিযান! গাজা গণহত্যায় সহায়তা করেছে শীর্ষস্থানীয় দুই টেক জায়ান্ট! লিবিয়া থেকে দেশে ফিরল আরো ৩১০ বাংলাদেশি গণভোটের বিষয়টি এখনও কমিশনের নজরে আসেনি: ইসি আনোয়ারুল পথকুকুরদের প্রসঙ্গে আপ্লুত ‘সইয়ারা’ খ্যাত অভিনেত্রী অনীত

আল্লাহ্‌র চোখে দাউদ (আঃ)-এর প্রশংসনীয় গুণাবলী

  • আপলোড সময় : ১৩-০৮-২০২৫ ০২:৩৩:৪৭ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৩-০৮-২০২৫ ০২:৩৩:৪৭ অপরাহ্ন
আল্লাহ্‌র চোখে দাউদ (আঃ)-এর প্রশংসনীয় গুণাবলী প্রতিকী ছবি
আল্লাহ তা'আলা হযরত দাউদ (আঃ)-কে বিশেষ কিছু গুণাবলীতে ভূষিত করেছিলেন যা তাঁর নিকট অত্যন্ত পছন্দের ছিল। ইসলামের বিভিন্ন বর্ণনা অনুযায়ী, দাউদ (আঃ) ছিলেন একাধারে একজন নবী, ন্যায়পরায়ণ শাসক এবং আল্লাহ্‌র একনিষ্ঠ উপাসক। তাঁর যে গুণগুলো আল্লাহ্‌র কাছে বিশেষভাবে প্রিয় ছিল, সেগুলো হলো:

১. আল্লাহ্‌র প্রতি প্রত্যাবর্তনশীলতা ও কৃতজ্ঞতা: দাউদ (আঃ) আল্লাহ্‌র দিকে প্রত্যাবর্তন করতেন, অর্থাৎ যেকোনো পরিস্থিতিতে তিনি আল্লাহ্‌র উপর নির্ভর করতেন এবং তাঁর কাছেই ফিরে যেতেন। পবিত্র কোরআনে তাঁকে 'আউয়াব' বা 'বারবার প্রত্যাবর্তনকারী' হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি আল্লাহ্‌র প্রতি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ একজন বান্দা ছিলেন।

২. ন্যায়বিচার ও প্রজ্ঞা: আল্লাহ তাঁকে রাজত্ব ও প্রজ্ঞা দান করেছিলেন। তিনি একজন আদর্শ ও ন্যায়পরায়ণ শাসক হিসেবে পরিচিত ছিলেন, যিনি পৃথিবীতে আল্লাহ্‌র কর্তৃত্বের প্রতীক হিসেবে কাজ করেছেন। আল্লাহ তাঁকে সুবিচার করার এবং খেয়াল-খুশির অনুসরণ না করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

৩. ইবাদতে একনিষ্ঠতা: হযরত দাউদ (আঃ) ইবাদতের প্রতি অত্যন্ত কঠোর ছিলেন। তাঁর নামাজ ও রোজা আল্লাহ্‌র কাছে সর্বাধিক পছন্দনীয় ছিল। তিনি রাতের একটি অংশ ইবাদতে কাটাতেন এবং একদিন পর পর রোজা রাখতেন, যা 'দাউদি রোজা' নামে পরিচিত।

৪. সুমধুর কণ্ঠ ও আল্লাহ্‌র প্রশংসা: আল্লাহ তাঁকে এক অপূর্ব কণ্ঠস্বর দান করেছিলেন। তিনি যখন যাবুর কিতাব তেলাওয়াত করতেন, তখন পাহাড় ও পাখিরাও তাঁর সাথে আল্লাহ্‌র পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করত। তাঁর এই মোহনীয় সুরের প্রশংসা কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে।

৫. দৈহিক ও আধ্যাত্মিক শক্তি: আল্লাহ দাউদ (আঃ)-কে আধ্যাত্মিক ও দৈহিক উভয় শক্তিতে বলীয়ান করেছিলেন। তিনি একজন শক্তিশালী ও সাহসী যোদ্ধা ছিলেন এবং শত্রুর মোকাবেলা করতে কখনো পশ্চাদপসরণ করতেন না।

৬. আল্লাহ্‌র ভালোবাসার জন্য দোয়া: দাউদ (আঃ) আল্লাহ্‌র ভালোবাসা পাওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত দোয়া করতেন। তাঁর একটি দোয়া রাসূলুল্লাহ (সাঃ) খুব পছন্দ করতেন।

এছাড়াও, তিনি নিজ হাতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। বাদশাহ হওয়া সত্ত্বেও তিনি বর্ম তৈরি করে তা বিক্রি করে খেতেন। এই সমস্ত গুণাবলীর জন্য হযরত দাউদ (আঃ) আল্লাহ্‌র একজন প্রিয় ও নৈকট্যপ্রাপ্ত বান্দা ছিলেন।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Rajshahir Somoy

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
তানোরে ফের নবিল গ্রুপের দুষণ সন্ত্রাস

তানোরে ফের নবিল গ্রুপের দুষণ সন্ত্রাস